Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৫ জুলাই ২০২৫

বিনা গ্লাডিওলাস১

 জাতের নামঃ বিনা গ্লাডিওলাস১

জাতের বৈশিষ্ট্যঃ

ক)  গোলাপীর সাথে সাদা ডোরাকাটা আকর্ষনীয় ফুল।

খ) ফুলের আকারে বেশ বড় (৯.৫-১০.৫ সে.মি.) ।

গ) গাছ তুলনামূলকভাবে ছোট ( ১২১-১৩২ সে.মি.)

ঘ) স্পাইকে ফুলের সংখ্যা বেশি (১২-১৫ ফুল/স্পাইক)। 

ঙ) গাছে করমের  উৎপাদন বেশি হয় ( ২.৫-৩.৫ টি/গাছ)।

চ) ফুলের সংগ্রহোত্তর কাল বেশি ।

ছ) উৎপাদন ১.৯ – ২.০ লাখ স্টিকস/গাছ

জমি ও মাটিঃ

গ্লাডিওলাস ফুল ঠান্ডা আবহাওয়া এবং রৌদ্রজ্জ্বল জায়গায় ভালো জন্মে। সাধারণত ১৫- ২৫ সে. তাপমাত্রায় এর অঙ্গজবৃদ্ধি ও ফুল উৎপাদন ভালো হয়। গ্লাডিওলাস দৈনিক ৮-১০ ঘন্টা আলো পছন্দ করে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা আছে এমন বেলে দোআঁশ থেকে দোআঁশ  মাটি উঁচু সারিতে গ্লাডিওলাস চাষের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট। মাটির pH  এর মান ৬-৭ এর মধ্যে থাকলে ফুল উৎপাদন ভালো হবে।

জমি তৈরী ও সার প্রয়োগ:

সেপ্টেম্বর- অক্টোবর মাসে জমি গভীরভাবে চাষ দিয়ে আগাছা ভালভাবে পরিষ্কার করে মাটি  ঝুরঝুরে করে জমি তৈরী করতে হবে।  জমি তৈরীর সময় হেক্টর প্রতি পঁচা গোবর: ১০ টন, টিএসপি:৩৭৫ কেজি, এমওপি: ৩০০ কেজি, বরিক এসিড: ১২ কেজি, জিংক সালফেট: ৮ কেজি

জিপসাম: ১০০ কেজি মাটির সাথে ভালো ভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। ৩০০ কেজি ইউরিয়া অর্ধেক করে করম রোপণের ২০-২৫ দিন পর, বাকী অর্ধেক পুস্পদন্ড বের হওয়ার সময় উপরিপ্রয়োগ করতে হবেভ

রোপণের সময় ও দুরত্ব

নভেম্বর মাসে করম (Corm) লাগানোর উপযুক্ত সময়। সারি থেকে সারির দূরুত্ব ৩০ সেমি এবং গাছ থেকে গাছের দূরুত্ব ২০ সে.মি.।

বীজ হারঃ

প্রতি হেক্টরে ১,৪৮,২০০ টি করমের প্রয়োজন হয়।

 

সেচ ও নিষ্কাশনঃ

জমিতে অবশ্যই পানি সেচ ও নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। শুষ্ক মৌসুমে মাটিতে রস রাখার জন্য নিয়মিত সেচ প্রদান করতে হবে।

অন্তর্বতীকালিন পরিচর্যা:

গাছের গোড়া সব সময় আগাছামুক্ত রাখতে হবে।পরষ্কিার রাখতে হব। প্রথমবার ইউরিয়া সার প্রয়োগ করার পর সেচ দিতে হবে। মাটিতে ‘জো’ আসলে  মাটি ঝুরঝুরে করে গাছের গোড়ায় তুলে দিতে। ফুলের ষ্টিক আসা শুরু করলে স্টিকসহ গাছকে খুঁটি দিয়ে বেঁধে দিতে

বালাই ব্যবস্থাপনাঃ

গ্লাডিওলাস সাধারণত ফিউজেরিয়াম উইল্ট ও করম পঁচা রোগে আক্রান্ত হয়। গ্লাডিওলাস ফুলে সাধারণত পোকার আক্রমণ দেখা যায়না। তবে মাঝে মাঝে থ্রিপস ও জাব পোকা দেখা যায়। কিন্তু যদি পোকা-মাকড় ও রোগ বালাই দেখা দেয়, তাহলে পোকার জন্য কীটনাশক এবং রোগের জন্য ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করতে হবে।

ফুল সংগ্রহ

সাধারণত স্পাইকের নিচের দিক থেকে ১-২ টি ফ্লোরেট ওপেন  হওয়া শুরু হলে স্পাইক কাটার উপযুক্ত সময়। স্পাইক কাটার সঙ্গে সঙ্গে বালতি ভর্তি পানিতে ফুলের স্পাইকের গোড়া ডুবিয়ে রাখতে হবে এবং প্লাস্টিকে প্যাকেটি জড়িয়ে নিম্ন তাপমাত্রায় (৬-৭সে.) সংরক্ষণ করা উত্তম।

হেক্টর প্রতি ফলনঃ

উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে এ জাতের ফলন ১.৯ – ২.০ লাখ স্টিকস/গাছ পাওয়া যায়।